‘না আমাদের বিয়ে হয়েছে, না বিচ্ছেদ’

গত সপ্তাহে খবর রটেছিল, বিয়ে করেছেন অভিনেত্রী তানিয়া বৃষ্টি ও অভিনেতা আরশ খান। এত দিন চুপ থাকলেও গতকাল সবিস্তারে জানিয়েছেন নিজের ‘বিয়ে বিড়ম্বনা’র গল্প। শুনেছেন মীর রাকিব হাসান

টানা শুটিংয়ে ছিলাম। তাই কথা বলার সময়টা বের করতে পারিনি। এখন ফুরসত মিলল। এই যে কথা বলছি।

নাকি বিয়ের খবর এড়িয়ে যেতে চাইছিলেন?

বিয়ের খবরটি ফেক। অনেকেই ফোন করছিলেন। সত্যি বলতে আমি একটু বিরক্ত ছিলাম বলেই সাংবাদিকদের ফোন ধরছিলাম না। অনেকে আমাদের মন্তব্য না নিয়ে বিয়ের খবর প্রকাশ করলেন। সহকর্মীর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকলেই কি প্রেম-বিয়ে হয়ে যায়?

আরশ আর আমি খুবই ভালো বন্ধু। আমরা তো অনেকের সঙ্গেই কাজ করি। এর মধ্যে দর্শক কোনো জুটিকে হয়তো বেশি দেখতে চায়। তখন পরিচালকরাও এই জুটি নিয়ে একাধিক কাজ করেন। এর মানে এই নয় বিয়ের সিলমোহর পড়তে হবে। আরশ আর আমি একসঙ্গে অনেক কাজ করেছি। সামনেও করব। আমাদের বন্ধুত্বের বাইরে ব্যক্তিগত কোনো সম্পর্ক নেই। বিয়েশাদি তো ইমপসিবল।

আপনাদের বিয়ের একটা ছবিও পেলাম, আপনার ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের কাছ থেকেই…

গত ঈদের নাটক মোহন আহমেদের ‘বরিশাইল্যা পোলা’র শুটিং সেটে তোলা এই ছবি। ছবিটাকে আমাদের বিয়ের বলে অনেকে চালিয়ে দিচ্ছেন। একটু খোঁজ নিলেই সত্যতা পাবেন।

বিয়ের খবর প্রকাশের পর ফেসবুকে রহস্যঘেরা একটি পোস্ট দিয়েছেন আরশ। সেটা দেখে কেউ কেউ বলছেন, বিয়ের পর আপনাদের বিচ্ছেদও হয়ে গেছে…

আরশ কী স্ট্যাটাস দিয়েছে আমি জানি না। না আমাদের রিলেশন আছে, না আমাদের বিয়ে হয়েছে, না বিচ্ছেদ। আমরা খুবই ক্লোজ ফ্রেন্ড। এমন কিছু হওয়ার সম্ভাবনাও নেই।

বন্ধুত্ব থেকে প্রেম হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলছেন কেন?

আমরা দুজনই সিঙ্গল। হতে পারে না এমন কোনো কথা নেই। তবে আমরা দুজন ভালো বন্ধু হিসেবেই ভালো আছি। এত দিন যেহেতু আমাদের প্রেম হয়নি, সামনে হবে বলে মনে হয় না।

বিয়েশাদি খুবই ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপার। হঠাৎ কাজের চাপটা এমনভাবে বেড়ে গেছে যে ওসব নিয়ে ভাবার সময় হয় না। ক্যারিয়ারের কিছু ওঠানামা তো হয়েছে। এখন কাজ নিয়েই থাকতে চাই।

‘নির্দোষ’ নামে একটা ধারাবাহিক করছি। আমি, তারিণ আপু, ছন্দা আপু, আরশসহ অনেকেই আছি। তারিন আপুরা যখন সেটে থাকেন তখন ভালো প্রস্তুতি নিয়েই শুটিং করতে হয়। তখন রিহার্সাল করছিলাম।

ধারবাহিক একটাই করছি। পাশাপাশি একক নাটকগুলো করছি। আজ (গতকাল) আছি তানভীর তন্ময়ের একটা নাটকের সেটে। আমার সঙ্গে আছেন নিলয় আলমগীর। দুদিন আগে শেষ করলাম নাটক ‘গার্লফ্রেন্ডের বিয়ে ভাঙতেই হবে’।

ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন। অনেক দিন চলচ্চিত্রের নতুন খবর নেই?

চলচ্চিত্র অনেক বড় মাধ্যম। ওখানে অনেক ভেবেচিন্তে আগানোর ব্যাপার আছে। মনে হয়েছে আরেকটু সময় নিয়ে চলচ্চিত্রে কাজ করি। এরপর তো ছোট পর্দায় নিয়মিত কাজ করছি। চলচ্চিত্রে সবাই কাজ করতে চায়, পরিবেশও এখন অনেক ভালো হয়েছে। নতুন করে ভালো প্রস্তাব পেলে সর্বোচ্চটা দিয়ে কাজ করব।

অনম বিশ্বাসের এই ছবি দিয়েই প্রথমবার ওয়েবে অভিনয় করলাম। প্রচারের পর থেকে ভালো রেসপন্স পাচ্ছি। চঞ্চল চৌধুরীর দ্বিতীয় স্ত্রীর চরিত্র। দু-তিনটা নতুন ওয়েব সিরিজের জন্য অডিশন দিয়েছি। কাজগুলো করতে পারলে হয়তো ক্যারিয়ারে নতুন মাত্রা যোগ হবে।